গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
৪নং বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদ
ইউনিয়নঃবড়খাপন,
উপজেলাঃ কলমাকান্দা, জেলাঃ নেত্রকোনা।
বিবিধ মোকদ্দমা নং ২৬
............................................................................................................................................................................
আদেশ পত্র
১ম পক্ষ
১। আসিলা বেগম, স্বামী মৃতঃ, আব্দুস ছোবান সাং হাইলাটী, ইউনিয়নঃবড়খাপন, উপজেলাঃ কলমাকান্দা, জেলাঃ নেত্রকোনা।
২য় পক্ষ
১. মোঃ আবু তাহের মড়ল, পিতা মৃতঃ মোগল মড়ল, সাং রিকা, ইউনিয়নঃবড়খাপন উপজেলাঃ কলমাকান্দা, জেলাঃ নেত্রকোনা।
অদ্য ২৭-০২-২০১৭ ইং তারিখ অত্র ২৬ নং বিবিধ মোকদ্দমাটি শুনানীর জন্য লওয়া হয়। নোটিশ জারী করা হয়েছে। পক্ষদ্বয় হাজিরা দাখিলের মাধ্যমে হাজির সহ অঙ্গীকার নামা দাখিল করিয়াছেন। বাদিনীর নালিশী ০.৩২৫ সহস্রাংশ ভূমি দখল স্বত্ত্ব থাকা অবস্থায় বিগত ১০/১২ বছর আগে তাহার ছেলে টিটু মিয়ার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিবাদী পক্ষ তাহার জায়গা না ছাড়ার পায়তারা করিয়া আসিতেছেন বলে দাবী করেন। পক্ষান্তরে বিবাদী পক্ষ বলে আমি প্রথমে ভাড়া নিয়েছিলাম, পরে বাদিনীর ছেলে টিটু মিয়ার নগদ অর্থের প্রয়োজন হলে বিবাদীকে তাহার ২৩ ফুট দৈর্ঘে ১৭ ফুট প্রস্থে দখল স্বত্ত্ব ভূমি বিক্রি করার প্রসত্মাব করিলে বিবাদী তাহার প্রসত্মাবে রাজি হইয়া ৩,৫০,০০০/- ( তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্য সাভ্যস্থ করিয়া এবং সাকুল্য টাকা তাহাকে এক তুরাতে সমজাইয়া দিয়া স্ট্যাম্পে লিখিত মাধ্যমে ক্রয় করিয়াছেন এবং শামিত্মপূর্নভাবে দখলে আছেন বলে বক্তব্য পেশ করেন। গন্যমান্য মাতাববরগনের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনিলাম,স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন পূর্বক সরেজমিন দখলের সত্যতা দেখা সহ উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করিয়া জানিতে পারিলাম। বাদিনী ও তার ছেলে নালিশী ০.৩২৫ সহস্রাংশ ভূমি হতে তিন ভাগের এক অংশ অর্থাৎ ০.১০৯ সহস্রাংশ ভূমি বাদিনীর স্বীকার উক্তিতে ও স্ট্যাম্পে লিখিত মাধ্যমে অনেক পূর্বেই অন্যত্র বিক্রি করিয়াছেন প্রমান পাওয়া যায়। বাকী তিন ভাগের দুই অংশ অর্থাৎ ০.২১৬ সহস্রাংশ (২৩ ফুট দৈর্ঘে ১৭ ফুট প্রস্থে দখল স্বত্ত্ব) ভূমি বাদিনীর ছেলে টিটু মিয়া বিবাদীর কাছে স্ট্যাম্পে লিখিত মাধ্যমে বিক্রি করিয়াছেন এবং বিবাদী শামিত্মপূর্ন ভাবে দখলে আছেন প্রমান পাওয়া যায়। কাগজ পত্র সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায় বাদিনী ও তার ছেলে নালিশী ০.৩২৫ সহস্রাংশ ভূমি হতে তিন ভাগের এক অংশ অর্থাৎ ০.১০৯ সহস্রাংশ ভূমি বিক্রি করার পর বাকী তিন ভাগের দুই অংশ অর্থাৎ ০.২১৬ সহস্রাংশ (২৩ ফুট দৈর্ঘে ১৭ ফুট প্রস্থে দখল স্বত্ত্ব) ভূমি বিগত সেটেলমেন্ট মাঠ পর্চার মমত্মব্য কলামে আসিলা বেগম ও তার ছেলে টিু মিয়ার নাম সম হিস্যায় দখল লেখা পাওয়া যায় কিন্তু সরেজমিনে তাদের কোন দখল প্রমান পাওয়া যায়নি। তাই উপস্থিত গন্যমান্য মাতাববরগনের সার্বিক প্রচেষ্টায় বাদিনীর তিন ভাগের দুই অংশ অর্থাৎ ০.২১৬ সহস্রাংশ (২৩ ফুট দৈর্ঘে ১৭ ফুট প্রস্থে দখল স্বত্ত্ব) ভূমির মধ্যে সম হিস্যায় ০.১০৮ সহস্রাংশ ভূমি দখল লেখা থাকিলেও সরেজমিনে বাদিনীর দখল প্রমান না পাওয়া যাওয়ায় সামাজিক ন্যায় বিচারের স্বার্থে ও একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার অসহায় স্ত্রী হিসেবে সর্বাধিক গুরম্নত্ব দিয়ে বাদিনীর ০.১০৮ সহস্রাংশ ভূমি বাবদ, বিবাদী কর্তৃক ২,০০০০০-/ ( দুই লক্ষ) টাকা মূল্য সাভ্যস্থ করিয়া নগদ সাকুল্য টাকা এক তুরাতে সমজিয়া দিয়া বাদিনী তার দখল স্বত্ত্ব ত্যাগী হওয়ার সিদ্ধামত্ম সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
অতএব আদেশ হয় যে. উপরোক্ত সার্বিক আলোচনা ও পর্যালোচনার মর্ম মোতাবেক বিবাদী কর্তৃক ধার্য্যকৃত ২,০০০০০-/ ( দুই লক্ষ) টাকা এক তুরাতে সমজিয়া পাইয়া বাদিনী তার দখল স্বত্ত্ব ত্যাগী হওয়ার সিদ্ধান্ত সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং উক্ত রায় নগদ কার্যকর করার আদেশ দিয়ে অত্র বিবিধ মোকদ্দমাটি নিস্পত্তি করা হয়।
এ,কে,এম হাদিছুজ্জামান হাদিছ
চেয়ারম্যান
বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়
কলমাকান্দা, নেত্রকোনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস